|
Date | 8/19/2025 12:03:04 PM |
ইসলামের পাঁচটি ফরজ নামাজের মধ্যে এশার নামাজ দিনের শেষ নামাজ। এটি রাতের অন্ধকারে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। অনেকেই জানতে চান, এশার নামাজ ১৭ রাকাত কেন পড়তে হয় এবং এই রাকাতগুলো কীভাবে ভাগ করা হয়েছে। চলুন তা বিস্তারিতভাবে জানি। এশার নামাজ শুরু হয় মাগরিবের পর, সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে যখন আকাশ সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে যায়। এই নামাজে মোট ১৭ রাকাত পড়া হয়ে থাকে, যা বিভিন্ন অংশে বিভক্ত। প্রথমেই রয়েছে ৪ রাকাত ফরজ নামাজ, যা জামাআতের সাথে আদায় করা উত্তম। এই রাকাতগুলো ইসলামের মৌলিক স্তম্ভের অন্তর্ভুক্ত, তাই এগুলো পড়া আবশ্যক। এরপর রয়েছে ২ রাকাত সুন্নত, যেগুলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়মিত আদায় করতেন। এই সুন্নত নামাজ আখিরাতে উত্তম প্রতিদান ও বরকতের উপায়। এছাড়াও এশার নামাজে রয়েছে ৩ রাকাত বিতর নামাজ, যেটি ওয়াজিব হিসেবে ধরা হয়। বিতরের মাধ্যমে দিনের ইবাদত পূর্ণতা পায় এবং রাতের গভীরতায় আল্লাহর রহমতের দ্বার উন্মুক্ত হয়। এরপর আবার ৪ রাকাত নফল নামাজ রয়েছে, যা সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক হলেও অধিক সওয়াবের আশায় অনেকে তা আদায় করেন। সবশেষে ৪ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়, যা গভীর রাতে পড়া হয় এবং আত্মিক প্রশান্তির এক অনন্য মাধ্যম। এইভাবে দেখা যায়, এশার নামাজের ১৭ রাকাত কোনো একমুখী ইবাদত নয় বরং এটি বিভিন্ন গুরুত্ব ও স্তরের নামাজ নিয়ে গঠিত। ফরজ, সুন্নত, ওয়াজিব ও নফল – সবকিছু মিলিয়ে এশার নামাজ মুসলিম জীবনের এক পরিপূর্ণ ইবাদতের প্রতীক। সঠিক নিয়মে, আন্তরিকতা ও খুশু-খুযু নিয়ে এশার নামাজ আদায় করলে তা শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব পালন নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হয়ে ওঠে।
|